|

তাহেরপুরে কঠোর লকডাউনে বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষরা

প্রকাশিতঃ ৮:১৬ অপরাহ্ন | জুলাই ২৮, ২০২১

নাজিম হাসান, রাজশাহী থেকে:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে হঠাৎ করেই উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে হাজার হাজার নিম্নআয়ের মানুষের। এই অবস্থায় দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে লকডাউন বা শাটডাউন। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া কথা বলা হয়েছে। তবে এই মহামারিতেও এক শ্রেণির জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতারা অনেক অসহায় ব্যাক্তিদের কাছে কোন ত্রান সামগ্রী নিয়ে এখন পর্যন্ত পৌছেনি। অথচ ২০২০ সালে মার্চ মাসের লকডাউনে পাড়া,মহল্লা,ইউনিয়নয়,উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের আওয়ামীলী,বিএনপি,জাতীয়পাটিসহ বিভিন্ন পাটির ছোট-বড় নেতাকর্মী ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা ত্রান সামগ্রী হাতে নিয়ে মানুষের দারে দারে ঘুেরছিলেন। কিন্তু এবার অনেক দিনমুজর ও অসহায় মানুনজন এখন পর্যন্ত কোন ত্রান সামগ্রীর চোখে দেখেনি। এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে, রাজশাহী জেলার প্রথম শ্রেণীর তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। দিন এনে দিন খাওয়া এই মানুষগুলোর আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে তারা দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। এর আগে জুলাই মাসের করোনা ভাইরাসের ১ জুলাই থেেক সরকার ঘোষতি এই লকডাউন শুরু হয়। ফলে ঘরে খাবার না থাকার করনে মানুষজনেরা মানছেনা লকডাউন, তারা খাবারের জন্য চুপ করে দোকানপাট খুলছে। কিন্তু আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের চাপের মুখে পড়ে তারা দোকান খুলতে পারছেনা। বিশেষ করে পুলিশী মাইকিং ও তাড়া খেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। এছাড়া দিনমুজর ও অসহান মানুনজনেরা ঘুরছে মানুষের ধারে ধারে। কাউকে দেখা মাত্র দল বেদে ছুটে যাচ্ছে ত্রানের আসায়। এদিকে, অনেক ছোট খাটো দোকানী ও দিনমজুরা বলেন,এবার সরকার ঘোষিত লকডাউন শুরু হবার পর থেকে তাদের কাজ কর্ম ও দোকানপাট বন্ধ। কাজ না করার কারনে তারা পরিবার নিয়ে আনেক কষ্ট করছেন। খেটে খাওয়া এসব মানুষ জানিয়েছেন, করোনার অভিশাপ আমাদের জীবনকে শেষ করে দিয়েছে। করোনার আগে পরিবার নিয়ে কোনো মতো দু-বেলা ডাল-ভাত খেয়ে জীবন চলে যাচ্ছিল। কিন্তু করোনা আমাদের ডাল-ভাত কেড়ে নিয়েছে। সাধারন মানুষের অভিযোগ সরকার ঘরে থেকে বের হতে বারন করেছে। প্রায় ঘরে গৃহবন্দী থেকেও খাবার জুটছে না। এক্ষেত্রে তাদের প্রশ্ন কেন তারা ত্রান থেকে বঞ্চিত,আমাদের পরিবারের সদস্যরা কি না খেয়ে বেচে থাকবে। অপরদিকে, কঠোর লকডাউন এর মধ্যেই তাহেরপুরের বিভিন্ন সড়কে মানুষের চলাচল আগের চেয়ে বেড়েছে। ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনের ষষ্ঠ দিন বুধবার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। রাস্তায় এ দিন ব্যাটারী চালিত ভ্যান,অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাও বেশি দেখা গেছে। এবং পুলিশের অবস্থানের ওপর চোখ রেখে বাজারের কয়েক হাজার দোকানের অধিকাংশই অর্ধেক সাটার খুলে ব্যবসা করছে। পুলিশ আসার খবরে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এবং আবার পুলিশ চলে গেলে দোকান খুলে ক্রয়–বিক্রয় করছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। এভাবেই চলছে তাহেরপুর পৌরসভার কঠোর লকডাউন।

দেখা হয়েছে: 171
সর্বাধিক পঠিত
ফেইসবুকে আমরা

অত্র পত্রিকায় প্রকাশিত কোন সংবাদ কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠানের মানহানিকর হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে। সকল লেখার স্বত্ব ও দায় লেখকের।

প্রকাশকঃ মোঃ উবায়দুল্লাহ
সম্পাদকঃ আরিফ আহম্মেদ
সহকারী সম্পাদকঃ সৈয়দ তরিকুল্লাহ আশরাফী
নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ সবুজ মিয়া
মোবাইলঃ ০১৯৭১-৭৬৪৪৯৭
বার্তা বিভাগ মোবাইলঃ ০১৭১৫-৭২৭২৮৮
ই-মেইলঃ [email protected]
অফিসঃ ১২/২ পশ্চিম রাজারবাগ, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা ১২১৪