নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
সনাতন হিন্দু ধর্মাবলাম্বীদের শারদীয়া বা দূর্গা পূজা বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। এবার করোনার কারনেও উৎসব হলো ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই রাজশাহী জেলাজুড়ে শুরু হয় পূজা কমিটির কঠোর নিরাপত্তা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন। এসময় আগামী বছর আগমনের সময় শান্তিময় এক পৃথিবীতে উৎসব ঘটবে এমন প্রত্যাশা করে সিধুর শুভক্ষনে দেবী দুর্গাকে বিদায় দিলেন ভক্তরা। আগের দিন নবমীতে নতুন কাপড়-চোপড় পরে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি নিবেদনের জন্য এসে ভিড় জমায় মন্ডপে মন্ডপে। এসময় পুরোহিতরা চণ্ডীপাঠ ও মন্ত্র উচ্চারণ শেষে শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে দেবীর পায়ে অর্ঘ্য নিবেদন করেন। এবং গতকাল শুক্রবার দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের দূর্গাপূজা। তবে দূর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকা গোবিন্দবাড়ির দুর্গা মন্দির,দোল মন্দির,কালিবাড়ি মন্দির, পঞ্চম মন্দির,বম্র মন্দির গোরহাঙ্গা মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিমা বির্ষজন হয়নি। গতকাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিজয় দশমীর দিনে রাজশাহী জেলার সবচেয়ে বৃহতম তাহেরপুর পৌরসভার হাটবার হ্ওয়ার কারনে এখানে প্রতিমা বিষর্জনের সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে শনিবার বিকেলে প্রতিমা বিষর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব এর পরিসমাপ্তি ঘটবে বলে পুজা কমিটির লোকজনেরা জানিয়েছে। ভক্তরা জানান,মা দুর্গাকে বিদায় জানাবেন তারা। ৫ দিন সাড়ম্বরে পূজার পর মা ফিরে যাবেন কৈলাসের আপন নিবাসে। এ সময় ভক্তরা চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিদায় দিবেন। এর আগে সকালে মায়ের পায়ে বিজয়া দশমীর পুষ্পাঞ্জলি দিতে মণ্ডপে মণ্ডপে শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবানির্বিশেষে সবাই ছুটে আসবেন। মূলত দশমী পূজা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের ইতি ঘটবে। উল্লেখ্য, বারো মাসে তের পর্বণ কথাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য প্রচলিত থাকলেও শারদীয়া বা দূর্গা পূজাই বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রথম শুরু হয় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর রাজবাড়ির গোবিন্দ মন্দিরের দুর্গ মন্দিরে। গত ৫৪২ বছর আগে সম্রাট আকবরের শাসনামলে রাজা শ্রী কংস নারায়ণ সে সময় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনার প্রতিমা তৈরী করে শুরু করেন এই দুর্গাপূজা আয়োজন। এবং দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল হিসেবে গর্ববোধ করেন তাহেরপুরের অধিবাসীরা।#
প্রকাশিতঃ ৯:৪৭ অপরাহ্ন | অক্টোবর ১৫, ২০২১
দেখা হয়েছে:
189