মোঃ কামাল হোসেন, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ও থানা পুলিশের যৌথ বন্দুকযুদ্ধে মোঃ মিজান (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে নিহত ওই ব্যাক্তি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী ছিলেন। সে উপজেলার দক্ষিন কাচিনা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভালুকা থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ ও এএসআই শাহ আলম গুরুতর আহত হন। তবে আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৯ মে) মধ্যরাতে উপজেলার পাড়াগাঁও চটনপাড়া সামাদ ফকির বাড়ী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আশিকুর রহমান, উপ-পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র দাস ও ভালুকা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোঃ আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও চটনপাড়া সামাদ ফকির বাড়ীর পাকা রাস্তার পার্শ্বে কতিপয় মাদক ব্যাবসায়ীরা মাদক ভাগাভাগি করছিল । পরে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান ও ভালুকা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে থানা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করতে ওই এলাকায় রাত সোয়া ২ টার দিকে পৌছে। তখন অভিযান চলাকালে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ এ্যালোপাথারী গুলি বর্ষন শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, পরে ওই সময় ডিবি ওসির নির্দেশে পুলিশের যৌথটিম আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। তখন উভয় পক্ষ্যের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পলিয়ে যায়। এসময় এলাকা তল্লাশী করে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী মোঃ মিজান (৪৫) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। পরে দ্রুত তাকে গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আনা হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক অাহত মিজানকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসি আশিক আরও জানান, এ ঘটনায় ভালুকা থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ ও এএসআই শাহ আলম গুরুতর আহত হন। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১০০ গ্রাম হেরোইন,১০০ পিচ ইয়াবা, তিনটি গুলির খোসা, ১টি রামদা, ১টি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মিজানের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ ৮/৯ টি মামলা আছিল। সে উপজেলার দক্ষিন কাচিনা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।