মোঃ সবুজ মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৪ নাম্বার সদর ইউনিয়নের পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় সংলগ্ন ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কুটিপাড়ায় ২৬/০৪/২০২০ রবিবার প্রথম এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় উপজেলা প্রশাসন শনাক্ত হওয়া ব্যাক্তি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের টেকনিশিয়ান সাজ্জাদকে বাসার মধ্যেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন এবং তার নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় চাহিদা পূরণের আশ্বাস দেন।
প্রদানকৃত আশ্বাস এর প্রেক্ষিতে ২৭/০৪/২০২০ সোমবার সন্ধ্যায় সাজ্জাদের জন্য বিভিন্ন প্রকার ফল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রেরণ করেন গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম।
তিনি উপহার সামগ্রীতে এক চিরকুটে উল্লেখ করেন সাজ্জাত আমরা আছি আপনার সাথে। চলো একসাথে যুদ্ধ করি।
উল্লেখ্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের টেকনিশিয়ান (৩০) বছর বয়সী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ভাড়া বাসায় থেকে গত ২২/০৪/২০২০ বুধবার নিজে থেকে করোনা পরিক্ষার জন্য নমুনা দেন গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার চারদিন পর ২৬/০৪/২০২০ রবিবার রংপুর মেডিক্যাল কলেজ পিসিআর ল্যাবের প্রদান করা রিপোটে তার শরীরে ধরা পড়ে করোনা ভাইরাসের জীবাণু।
বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গংগাচড়া উপজেলা প্রশাসন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডকে বিশেষ নজরদারিতে রেখে পাশের ৮ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস জানান আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পুর্ণ সুস্থ বোধ করছে। সে নিজেই পরপর দুই দিন নমুনা দিতে আসে। প্রথম দিন আমাদের চাহিদাকৃত নমুনা সংগ্রহ হওয়ায় আমরা নমুনা সংগ্রহ করতে পারি নাই যার কারনে সে দ্বিতীয় দিন এসে সন্দেহ বসত নমুনা দেন।তার সাথে কথা বলে জানা যায় করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে সে উপজেলা প্রশাসন ও নিজ দপ্তরের হয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বিভিন্ন ইউনিয়নে জরিপের কাজ করেছেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান হতে পারে কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি তার আক্রান্তের কথা গোপন করেছে এবং সাজ্জাদ সাহেব তার সংস্পর্শে গিয়েছিল। তবে যেহেতু সে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার লক্ষন ছাড়া সুস্থ আছেন আমরা ৭ দিন পর পুনরায় তার নমুনা সংগ্রহ করবো এবং ১৪ দিন পর আরেকবার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দিবো রিপোট ভালো হলে তিনি আবার স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবে।