গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৪ নং সদর ইউনিয়নের পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় সংলগ্ন ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কুটিপাড়ায় প্রথম এক ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন এলাকার ৮ বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে।
সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাচড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কুটিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় থাকা এবং উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের টেকনিশিয়ান (৩০) বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে আজ ধরা পড়ে করোনা ভাইরাসের জীবাণু। তিনি গত ২২/০৪/২০২০ বুধবার গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় নমুনা দেন তিনি।
আজ রংপুর মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় রিপোটে তার শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গংগাচড়া উপজেলা প্রশাসন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডকে বিশেষ নজরদারিতে রেখে উক্ত ব্যাক্তির বসবাস কৃত বাড়ির আশেপাশের ৮ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস জানান আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে নমুনা দিতে আসে। হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরুর পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এই প্রথম একজনের শরীরে নমুনা সনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন সনাক্ত হওয়া ব্যাক্তির শরীরে কোন উপসর্গ না থাকায় বাসায় আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে ৭ দিন পর এবং ১৪ দিন পর পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করা হবে যদি রিপোর্ট ভালো আসে তবে সে আবার স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করতে পারবে।
গংগাচড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল সুমন আব্দুল্লাহ বলেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক আছে তার শরীরে কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে করোনা পজিটিভ ব্যাক্তি নিশ্চিত করেছেন।আপাতত তাকে বাসায় রাখা হয়েছে তার যাতে কোন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সমস্যা না হয় সে জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম জানান, গঙ্গাচড়া একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই ঐ গ্রামের ৮টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।তাছাড়া একই বাড়ির সকল সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা ওই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গিয়েছেন, তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।