নাজিম হাসান,রাজশাহী সংবাদদাতা:
রাজশাহীর বাগামারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা এখনো রহস্যই রয়েছে। ৫ দিনেও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কি কারণে এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। আর এই কারনে নারী হত্যাকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েগেছে। তবে খুনের কারণ নিশ্চিত হতে ভিসেরা রিপোর্টের অপেক্ষায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে, বাগামারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড তিলিপাড়ার জেলেপাড়া বারনই নদীর দক্ষিন ধারে ওই অজ্ঞাত পরিচয় নারীকে কেবাকাহারা বেশ কয়েকদিন আগে হত্যা করে লাশটি কচরিপানা দিয়ে ঢেকে রেখে যায়। (২৬মার্চ) মঙ্গলবার সকালে লাশের দুর্গন্ধ বাতাসে এলাকার লোকজনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা ঘঁটনারস্থলে ছুটে য়ায।এবং লাশ দেখে তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তবে নারীটির পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারি তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আতাউর রহমান নিহতের বরাত দিয়ে জানান,তাহেরপুর পৌরসভার তিলিপাড়ার জেলেপাড়া এলাকায় বারনই নদীতে এক নারীর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকার লোকজন। পরে পুলিশসহ ঘঁনাস্থলে গিয়ে (২৬মার্চ) মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এসময় নিহত নারির পরনে কালো রংগের শাড়ি,পেটিকোট ও হলুদ রংগের ব্লাউজ ছিলো। তিনি আরো জানান, তার গলার সামনের দিকে জবাই করে মাথা বিচ্ছিন্ন করাছিল। এটি নিঃসন্দেহে একটি হত্যাকাণ্ড। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এর রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করছে পুলিশ। তবে নিহত নারিকে ধর্ষন করা হয়েছিল কি না তা ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।#
প্রকাশিতঃ ৭:৩৯ অপরাহ্ন | মার্চ ৩০, ২০১৯
দেখা হয়েছে:
255