লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে লক্ষ্মীপুরে সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত আছে। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের মাছ বাজার, কাঁচা বাজার ও ফার্মেসিগুলোতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন সেনা সদস্যরা।
এসময় একটি এ্যাম্বুলেন্সে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা সহকারি (ভুমি) কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর টহল দেখে বাজার ও সড়কগুলো জনশূন্য দেখা যায়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন রাহাত, সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো.অলিসহ সেনা ও পুলিশ সদস্যরা।
সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা সহকারি (ভুমি) কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের নেতৃতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে টহল পরিচালনা করা হয়। জেলা শহরের মাছ-বাজার, কাঁচা-বাজারসহ পুরো শহর টহল দেওয়া হয়েছে। এসময় তারা জনগণকে সতর্ক করে করোনা ভাইরাসের সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, সুরক্ষারেখা এঁকে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পণ্যবাহী ট্রাকছাড়া মোটরসাইকেলসহ সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ। ওষুধের ফার্মেসি, মুদি ও কাঁচা পণ্যের দোকান ছাড়া চায়ের দোকানসহ অন্যসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এরমধ্যে মুদি ও কাঁচা পণ্যের দোকান সন্ধ্যা ৬ টার আগে বন্ধের নির্দেশনায় জেলাব্যাপী মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর শনিবার বিকেল পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনের তালিকায় ১ হাজার ৩২৫ জন ছিলেন। এদেরমধ্যে কোয়ারাইন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৭১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিকে এক পুলিশ সদস্যকে সন্দেহভাজন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকী ৬১১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, জনসচেতনতা গড়ে তুলতে আমাদের এ যৌথ-অভিযান। মানুষ কিভাবে লাল বৃত্ত ও সাদা বৃত্ত ব্যবহার করবে, সে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ফার্মেসি ছাড়া সকল দোকান-পাট বন্ধ থাকবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গাফ্ফার বলেন, এখনো পর্যন্ত জেলায় কোন করোনা রোগী শণাক্ত হয়নি। এছাড়া সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর টহল চলছে। হোম কোয়ারাইন্টানে থাকা ব্যক্তিদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।