সাইফুল ইসলাম, কুমিল্লা সংবাদদাতাঃ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া হাতিমারা গ্রামের গরীব কৃষক ছায়েদুল হকের মেয়ে সিমু আক্তার(১০) কে তাহার বসত ঘরে একা পাইয়া অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা জোরপূর্বক ধর্ষণ করতঃ ধারালো দা এবং বটি দ্বারা মুখে এবং যৌনাঙ্গে উপর্যপুরি আঘাত করিয়া হত্যা নিশ্চিত করিয়া পালাইয়া যায়।
একই তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.১৫ ঘটিকায় সংবাদ পাইয়া তাৎক্ষনিকভাবে লাকসাম সার্কেলের সিনিঃ সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ সামসুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব নজরুল ইসলাম, নাথেরপেটুয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জামির হোসেন জিয়া, এসআই আঃ খালেক, এসআই শামীম এবং অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতঃ আইনী কার্যক্রম গ্রহনে তৎপর হন।
এরই ধারাবাহিকতা জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে লাকসাম সার্কেলের সিনিঃ সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের সার্বিক তত্ত্ববধানে এবং মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ সামসুজ্জামান নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করিয়া এক দিনের মধ্যে ঘটনায় জড়িত অন্যতম প্রধান আসামী ১. বাচ্চু মিয়া(৪৮), পিং- মৃত লাল মিয়া, সাং- হাতিমারা (হাজুর বাপের বাড়ী), থানা- মনোহরগঞ্জ, জেলা- কুমিল্লাকে আটক করা হয়।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বাচ্চু মিয়া ঘটনা সংঘটনের কথা স্বীকার করে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তাহার সহযোগী অপর আসামী হামজা(৩৫), পিং- মৃত মোস্তফা ভূঁইয়া, সাং-হাতিমারা (শফিক মেম্বারের বাড়ী), থানা- মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লার নাম প্রকাশ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জানায় যে, ঘটনার দিন বেলা ১১.৩০ ঘটিকার সময়ে আসামী নিজে এবং আমাীর হামজা ছায়েদুল হকের বাড়ীতে যায় এবং তার মেয়ে সিমু (১০) কে বাড়ীর উঠানে একা বসা পাইয়া কোলে করিয়া জোরপূর্বক ঘরের ভিতর নিয়া যায়।
প্রথমে আসামী বাচ্চু সিমুকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে এবং পরবর্তীতে আমীর হামজা সিমুকে ধর্ষন করে। তখন সিমু আসামীদের চিনিতে পারিয়া ঘটনাটি তাহার পিতাকে বলিয়া দেওয়ার কথা বলিলে আসামী বাচ্চু এবং আমীর হামজা ঘরে থাকা দাও দিয়া এলোপাতাড়ী কুপাইয়া মুখে এবং যৌনাঙ্গে উপর্যপুরি আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ঘর হইতে বাহির হইয়া যায়।
এই সংক্রান্তে মনোহরগঞ্জ থানার মামলা নং- ০২, তারিখ- ০৫/০৩/১৮ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন আইন/২০০০(সংশোধিত/০৩) এর ৯(২) রুজু করা হয়। ইতোমধ্যে আসামী বাচ্চু মিয়া ঘটনার কথা স্বীকার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করিয়াছে। অপর আসামী আমীর হামজাকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হইয়াছে। উক্ত আসামীও ঘটনার কথা স্বীকার করিয়াছে।