অনলাইন বার্তাঃ
অভিযুক্ত তাহমীদ পলাশ নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাহমীদ পলাশ তাকে প্রকাশ্যে টাকার বিনিময়ে তার সাথে সম্পর্ক করতে কু-প্রস্তাব দিয়েছেন।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত ০৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহমীদ পলাশ আমাকে প্রকাশ্য দিবালোকে টাকার বিনিময়ে তার সাথে সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দেন এবং আমার সম্পর্কে খারাপ মনোভাব প্রকাশ করে কথা বলেন- যেগুলো আমি আমার ব্যক্তিগত মোবাইলে রেকর্ড করে রাখি।… এই অবস্থায় জনসম্মুখে আসা আমার জন্য দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আমি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত।’
সূত্র জানায়, ঘটনার পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপর্যুক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করে নিজ বিভাগীয় প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। তৎপরবর্তী সময় থেকে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনও পদক্ষেপে বিভাগ থেকে নেয়া হয়নি। এই অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি এবং একপর্যায়ে অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) ভর্তি হন।
চিকিৎসার একদিন পর (১৮ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসক পর্যবক্ষণে রাখার শর্তে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেন।
এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শামীমা নাসরীন বলেন, ‘বিভাগ থেকে একাডেমিক সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপে নেয়া হবে।
এদিকে অভিযোগ পেয়েছেন-স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা (প্রক্টরিয়াল বডি) লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপাচার্যকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে খুব দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।-ঢাকাটাইমস