মোঃ মহসিন রেজা,শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের শৌলপাড়া ইউনিয়নে প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে গিয়ে অনাকাংখিত ঘটনায় ধরা পড়ে এক প্রেমিক ৬ মাসের জন্য জেল খানায়। সোমবার সকাল ৮টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় শৌলপাড়া ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই প্রেমিক যুগল সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন, এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোল্লাকান্দি গ্রামের মোসলেম ঢালীর মেয়ে রুনা আক্তারের (১৭) সঙ্গে তার বেয়াই একই ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামের আব্দুল জলিল মাদবরের ছেলে মামুন মাদবরের (২৪) তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মামুন-রুনার সঙ্গে মনমালিন্য হয়। মামুনের সঙ্গে অভিমান করে মোবাইলে কথা বলা, দেখা করা বন্ধ করে দেয় এতে প্রেমিকার উপর ক্ষিপ্ত হয় মামুন।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রুনা আক্তার কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ির সামনে রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। তখন মামুন মোটরসাইকেল নিয়ে রুনার সামনে এসে দাঁড়ালে বেয়াইন প্রেমিকার রাগ ভাঙ্গাতে প্রেমিক মামুন।
এসময় তাকে তার মটর সাইকেলে করে কলেজে পৌছে দেওয়ার কথা বললে যেতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকাকে থাপ্পর মারে প্রেমিক থাপ্পরে ব্যাথা পেয়ে চিৎকার করে প্রেমিকা রুনা, চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজনে মামুনকে আটক করে মামুনকে পালং মডেল থানার পুলিশেরর কাছে সোপর্দ করে।
পরে খবর পেয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্ম-কর্তা জিয়াউর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
অভিযুক্ত মামুন মাদবর অপরাধ বার্তাকে বলেন, তিন বছর ধরে রুনার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক সে আমার বড় ভাইয়ের শালি আমার সাথে অভিমান করেছে তাই আমি অভিমান ভাঙ্গাতে এসেছিলাম।
শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াসিন হাওলাদার বলেন, আমি লোকের মাধ্যমে শুনলাম মামুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এব্যাপারে সদর ইউ এন ও সাহেব এসে অপরাধী মামুনকে ভ্রাম্যামান আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।