অনলাইন বার্তাঃ
ধর্ষণ নামক ব্যাধিটি যেন সমাজের আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। অবুঝ শিশু থেকে মধ্য বয়সী নারী কেউই রেহাই পাচ্ছে না ধর্ষক নরপশুদের হাত থেকে। সম্প্রতি ভারতের মধ্য প্রদেশে ঘটেছে ধর্ষণের এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। দলিত সম্প্রদায়ের এক মেয়েকে ছুরির মুখে ধর্ষণ করা হয়।
কিন্তু ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে এক সাহসী ভূমিকা রেখেছেন সম্প্রতি। মাত্র ১৬ বছর বয়সী মেয়েটি ব্যাগে করে তর ভ্রূণ নিয়ে পুলিশ স্টেশন উপস্থিত হয়েছে। তারপর শোনালো তার জীবনে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর এক কাহিনী।
দশম শ্রেণিতে পড়ে সে। সাত মাস আগে ছুরির মুখে তাকের ধর্ষণ করা হয়। তখন এ অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে গেলে পাত্তা দেয়নি পুলিশ। পরে ঘরে ফিরে যায় সে। কিন্তু একটা পর্যায়ে পেটে ব্যথা থেকে বুঝতে পারে সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে।
বুধবার বাধ্য হয়ে মায়ের সঙ্গে একটা অটোরিক্সায় চড়ে হাসপাতালের উদ্দেশে। এর মধ্যেও ধর্ষক এবং তার সঙ্গীরা তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা জোর করে তাদের নিয়ে যায় এক ডাক্তারের বাড়িতে। সেখানেই তার গর্ভপাত ঘটানো হয়।
মেয়েটি জানায়, ডাক্তার তার ভ্রূণটা একটা ব্যাগে করে দেন। দিয়ে বলেন, এটাকে রাস্তায় কোনো ডাস্টবিনে ফেলে দিতে। পরে তাদের ২০ রুপি দেওয়া হয় অটোতে ফিরতি পথ ধরতে। ধর্ষকের দল তাদের ভয়ভীতি দেখায় যে, ঘটনার জানাজানি হলেই খবর আছে।
কিন্তু ঘুরে দাঁড়ায় সাহসী মেয়েটি। ব্যাগটি নিয়ে মধ্য প্রদেশের পুলিশের কাছে যায় সে। নিরাজ পান্ডে নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। প্রমাণ আছে ব্যাগে।
সান্তার পুলিশ সুপার রাজেশ হিনগারকার বলেন, মেয়েটি যখন অভিযোগ করতে আসে তখন আমি অফিসে ছিলাম না। তবে তার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।