শহীদুল ইসলাম, নেত্রকোণা: নেত্রকোণা মদন উপজেলা মাঘান ইউনিয়নের রুহুলী গ্রামের কুমারী মেয়েকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে ২৩শে ডিসেম্বর মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাঘান ইউনিয়নের রুহুলী গ্রামের মামুন (২২), হাবিবুর রহমান (৬৫), সবুর মিয়াসহ (৩৫) ৩জনকে আসামী করে ভিকটিমের বাবা একটি ধর্ষণ মামলা করে। একই গ্রামের ধর্ষণকারী মামুন দীর্ঘদিন ধরে প্রেম-ভালবাসার অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
গত ২১শে ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে রাত ৩টায় অবৈধ মেলামেশার করার জন্য বিবাদী মামুন ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ করে ভিকটিমের রান্না ঘরে কৌশলে নিয়ে আসে। এসময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে রান্না ঘরে গিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে ভিকটিম ও মামুনকে অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে পেয়ে হৈহুল্লড় শুরু হলে প্রতিবেশীরা এসে ভিকটিমের পক্ষ থেকে মামুনকে আটক করে।
পরে খবর পেয়ে মামুনের বাবা হাবিবুর রহমান এবং তার ভগ্নিপতি সবুর মিয়া ঘটনাস্থলে এসে বিবাহ বন্ধনের আশ্বাস দিয়ে মামুনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামুন ও তার পরিবার বিয়ের কথা অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিমের পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়।
এ ব্যাপারে মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুজ্জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের বাবা মদন থানায় ৩জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।