মোঃ কামাল হোসেন, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ও থানা পুলিশের সঙ্গে যৌথ কথিত বন্দুকযুদ্ধে জালাল (৩৮) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে নিহত ওই ব্যাক্তি উপজেলা এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামী ছিলেন। তবে জালালের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ ৬ টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই জুয়েল, কনেস্টেবল ফজলুল হকসহ ২ পুলিশ সদস্য গুরতর আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ভালুকা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ পুলিশলাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (৪ জুলাই ) মধ্যরাত সোয়া ২ টার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের খন্দকার পাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আশিকুর রহমান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আশিকুরর রহমান জানান, বুধবার মধ্যরাত সোয়া ২ টার দিকে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের খন্দকার পাড়া গ্রামস্থ জনৈক আঃ রউফ মিয়ার বাড়ীর ২০০ গজ পশ্চিমে পাকা রাস্তার পূর্ব পার্শে কতিপয় মাদক ব্যাবসায়ীরা মাদক হাতবদল করতেছিল ।
পরে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ওসি ও ভালুকা মডেল থানা পুলিশের যৌথ নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করতে ওই এলাকায় পৌছে ডিবির একটি চৌকশ টিম। তখন অভিযান চলাকালে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ এ্যালোপাথারী গুলি বর্ষন শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, পরে ওই সময় ডিবি ওসির নির্দেশে ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। তখন উভয় পক্ষ্যের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পলিয়ে যায়। এসময় এলাকা তল্লাশী করে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি জালাল (৩৮) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়।
পরে দ্রুত তাকে গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আনা হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক অাহত ভেবেল বাচ্চুকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসি আশিক আরও জানান, এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই জুয়েল ও কনস্টেবল ফজলুল হক গুরতর আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ভালুকা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ পুলিশলাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত আসামি জালালের নামে হত্যা ও মাদকসহ ০৬ টিরও বেশি মামলা রয়েছে।